উপকরণ

১। কুমড়া এক থেকে দুই ফালি
২। কর্নফ্লাওয়ার এক থেকে দেড় কাপ
৩। পাতিলেবু
৪। লবণ
৫। চাটমশলা ও সস

প্রণালি

প্রথমে কুমড়া পরিষ্কার করে নিতে হবে এর পর খোসা ভালো করে ছাড়িয়ে নিন। পাতলা পাতলা করে লম্বা আকারে কুমড়া কেটে নিন। দরকারে স্লাইসার ব্যবহার করুন। কিন্তু খুব বেশি সরু করে কুমড়া কাটবেন না। সে ক্ষেত্রে কুমড়ার টুকরো আধ ইঞ্চি মতো পুরু থাকবে। লম্বায় তিন ইঞ্চি রাখতে পারেন।
এবার কুমড়ার টুকরোগুলো কলের তলায় ধরে ভালো করে ধুয়ে নিন। খেয়াল রাখতে হবে জেনো পাত্রের গায়ে বা কুমড়ার মধ্যে কোনও পানি পানি ভাব না থাকে।
একটি পাত্রে পানির মধ্যে কিছু বরফ দিন। এক টেবিল চামচ পাতিলেবুর রস দিন এর মধ্যে। এবার কুমড়ার টুকরোগুলো সেই পাত্রের পানি ডুবিয়ে ফ্রিজে রাখুন।
আধ ঘণ্টা পরে তা বের করে পানি থেকে ছেঁকে তুলে নিতে হবে। অন্য একটি পাত্রে পানি ঝরিয়ে নিতে ভাল করে।
কুমড়োর টুকরোগুলো ভাজার আগে একটি পাত্রে অল্প কর্নফ্লাওয়ার ও স্বাদ মতো লবণ মিশিয়ে রাখুন। ভাজার আগে কুমড়োগুলো এই মিশ্রণে দিয়ে দু’হাতে ভালো করে মিশিয়ে নিন।
এবার কড়াইয়ে তেল দিয়ে তা ফুটন্ত তাপমাত্রায় পৌঁছনো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। কুমড়া ছেড়ে আঁচ মাঝারি করে নিন।
একে একে কুমড়ার টুকরোগুলো দিয়ে নাড়তে থাকুন। মনে রাখতে হবে, একটু ডুবো তেলে ভাজতে হবে।
খুন্তি দিয়ে নেড়ে কুমড়াগুলো ছাড়িয়ে দিতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে, কুমড়ার টুকরো কড়াইয়ের নীচে যেন আটকে না যায়। কুমড়া যাতে ভেঙে না যায় খেয়াল রাখতে হবে সে দিকেও। প্রথমে মাঝারি আঁচে কুমড়া ভেজে তুলে নিতে হবে। এতে কুমড়া সিদ্ধ হয়ে যাবে।
ভাজা কুমড়াগুলো তুলে টিসু পেপারে রেখে বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে হবে। অতিরিক্ত তেল শুষে নেবে পেপার। তার পরে আবার আঁচ বাড়িয়ে তেলে লালচে করে ভেজে নিন চাইলে। দ্বিতীয় বার ভাজার পরে কুমড়া সোনালি ও মুচমুচে হবে।
সার্ভিং প্লেটে কুমড়ার ফ্রেঞ্চ ফ্রাইয়ের উপরে চাটমশলা ছড়িয়ে সস দিয়ে পরিবেশন করুন।



শেয়ার করুন
Facebook Google+ Twitter